আমরা প্রায়ই আমাদের অতীতের কিছু ভুল কাজ/সিদ্ধান্ত নিয়ে অনুতপ্ত থাকি। উদাহরণস্বরুপ বলা যায় যে, তুমি কোন পরীক্ষা তে আশানুরূপ ফলাফল পেলে না।তুমি সারাক্ষন এইটাই ভাবছো যে,\”আমার পরীক্ষার দুইদিন আগে এইভাবে সারাদিন ফেসবুকে থাকা উচিত হয় নি,নেটফ্লিক্স একটার পর একটা সিরিজ দেখা ঠিক হয় নি\” এবং তুমি রিগ্রেটের মত ভয়াবহ অনুভূতির সাইকেলে পরে গেলে।ফলাফল, কাজে অনীহা,ডিপ্রেশন। এখন এই ক্ষেত্রে কয়েকটা কথা চিন্তা কর।
- দুর্ঘটনা থেকে তোমার শিক্ষানীয়: আমরা যখন নিজের জীবনের ভুল নিয়ে ভীষন রকমের রিগ্রেট করি,তখন আমরা সেই ভুল থেকে শিক্ষা নিতে পারি না।এই উদাহরণ-র প্রসংগে তুমি চিন্তা কর,পরীক্ষার আগে এভাবে সোশ্যাল মিডিয়াতে সময় নষ্ট করার কারন টা কি হতে পারে? হতে পারে তুমি পড়ার স্ট্রেস থেকে মুক্ত হওয়ার জন্য ১০ মিনিটের ব্রেক নিয়েছিলে।কিন্তু নিউজফিড স্ক্রল করতে করতে কখন ১ ঘন্টা পার হয়ে গেছে তোমার খেয়াল নেই।এরপর হয়তো কোনো বন্ধুর কাছ থেকে মুভি রিভিউ শুনে নেটফ্লিক্সে সেই মুভিটাও দেখতে বসে গেলে।এই ঘটনা থেকে একটা শিখন এমন হতে পারে যে,শর্ট টার্ম স্ট্রেস রিলিফের জন্য সোশ্যাল মিডিয়া স্ক্রোলিং কখনই ভালো একটা অপশন না।অথবা নিজের সময়ের প্রতি মাইন্ডফুল এবং ইন্টেনশনাল থাকা অযাচিত সময় নষ্ট করা থেকে বিরত রাখে।দেখো,একটা ভুল থেকে কি সুন্দর কিছু লাইফ লেসন পেলে।নেক্সট টাইম হয়তো তুমি এই ভুল করবেই না।ভেবে দেখো তো,রিগ্রেট করলে তুমি কি এই লাইফ লেসন গুলো পেতে?
- নিজের প্রতি ভুল বিচার করো না: মানুষ প্রতিনিয়ত গ্রো করে।অতীতের তুমি এবং বর্তমানের তুমির মধ্যে পার্থক্য আছে। অতীতের যে ভুলের জন্য তুমি নিজেকে দোষারোপ করছো,ভেবে দেখো তুমি কিন্তু নিজেই নিজের প্রতি জাজমেন্টাল হয়ে পরছো।
- নিজেকে ক্ষমা করতে শেখ: তুমি যত দ্রুত নিজেকে ক্ষমা করতে শিখবে,তত দ্রুত তুমি রিগ্রেটের বাবল থেকে বের হয়ে আসতে পারবে।এবং তত দ্রুত তুমি জীবনে এগিয়ে যাবে।জিনিস টা তুমি এইভাবে চিন্তা করতে পারো যে, একটা পরীক্ষাতে তুমি অলসতার কারনে ভালো মত প্রিপারেশন নিতে পারলে না।এখন রিগ্রেট করলে সেই পরীক্ষা ফিরে আসবে না,কিন্তু নেক্সট পরীক্ষাটার প্রিপারেশন এ ব্যাঘাত ঘটতে পারে।তেমনি জীবনের প্রতি টা ক্ষেত্রে নিজের যেকোন ভুল সিদ্ধান্ত,ভুল কাজ এর জন্য অনুশোচনার ব্যাপ্তিকাল যত কম হবে,এবং যত দ্রুত তুমি সে ভুল থেকে শিক্ষা নিবে,তত দ্রুত তুমি জীবনে এগিয়ে যাবে।
- অ্যাটেনশন ম্যানেজমেন্ট করতে হবে: টাইম ম্যানেজমেন্ট এর চাইতে আ্যটেনশন ম্যানেজমেন্ট খুব বেশি জরুরি।তোমার আ্যটেনশন মনোযোগ কোথায় যাচ্ছে, সেটা খেয়াল কর।অতীতের কোন ভুল যদি তোমার বর্তমান কাজকে বাধা দেয়,তাহলে তুমি আসলে অতীতেই পরে আছো।তোমার সমস্ত মনোযোগ এখনো অতীতেই আছে।অতীতে বাস করা এর বাবল থেকে ফিরে আসো।এর জন্য কিছু মাইন্ডফুল মেডিটেশন আছে, যা তুমি ট্রাই করতে পারো।