নিজেকে ফোকাস্ট এবং শান্ত রাখার উপায়

দুশ্চিন্তা এবং তোমার সুন্দর বর্তমান

তুমি কি জানো বিশ্বে প্রায় ২৮৬ মিলিয়ন মানুষের এনজাইটি ডিজঅর্ডার আছে?

কখনো কি এমন হয়েছে যে কোন জিনিস/সিচুয়েশন /ইন্সিডেন্ট/ডেডলাইন এর কথা ভাবলেই তোমার খুব রেস্টলেস ফিল হয়? অথবা মুখ শুকিয়ে যায়,হাত-পা ঠান্ডা হয়ে যায়,ঘেমে যায়,শ্বাস নিতে কষ্ট হয়,মাসল টেনশন, ঘুমে সমস্যা হয়?

এনজাইটির অনেক ধরন আছে যার মধ্যে জেনেরেলাইজড এনজাইটি ডিজঅর্ডার অন্যতম। যখন তুমি কোন টপিক(সেটা হতে পারে পরিবার /স্বাস্থ্য /ক্যারিয়ার/আ্যকাডেমিক)  নিয়ে মাত্রাতিরিক্ত দুশ্চিন্তা কর,তোমার স্বাভাবিক কাজ-কর্মে মনোযোগ দিতে কষ্ট হয়,এবং সারাক্ষন অস্থির অনুভব কর,তখন ই বুঝবে তোমার বিশ্রাম এবং সাইকোলজিকাল হেল্প প্রয়োজন।

জেনারেলাইজড এনজাইটি ডিজঅর্ডার কি?

যখন কোন মানুষ কারণ ছাড়াই মাত্রাতিরিক্ত দুশ্চিন্তা করেন এবং ভবিষ্যতে খুব খারাপ দুর্ঘটনা হওয়ার আশংকা করে প্রাত্যহিক জীবন কে দুর্বিষহ করে তোলেন,অথবা সেই অবাস্তব চিন্তায় ডেইলি রুটিন মেইনটেইন করতে ব্যর্থ হন,তখন ধারনা করা যেতে পারেন তিনি জেনারালাইজড এনজাইটি ডিজঅর্ডার এ ভুগছেন।

জেনারালাইজড এনজাইটি ডিজঅর্ডার  এর কিছু কমন লক্ষনঃ

  • ভবিষ্যৎ নিয়ে মাত্রাতিরিক্ত দুশ্চিন্তা করা 
  • জীবনের যে কোন ইস্যু/প্রবলেম -র ব্যাপারে অবাস্তব চিন্তা করা।
  • যেকোনো কাজে মনোযোগ দিতে কষ্ট হওয়া 
  • ঠিক মত ঘুম না আসা/ঘন ঘন ঘুমের ব্যঘাত হওয়া 
  • খুব সহজেই ক্লান্ত অনুভব করা 
নিজেকে ফোকাসড রাখার উপায়
নিজেকে ফোকাসড রাখার উপায়

কিভাবে এর থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যেতে পারে ? 

  • নিয়মিত ব্যায়াম করা
  • নিয়মিত যোগব্যায়াম করা
  • সুষম খাবার খাওয়া
  • স্লিপিং সাইকেল ঠিক রাখা 
  • অতিরিক্ত চা/ কফি পরিহার করা 
  • মেডিটেশন করা 
  • শরীর-মন কে রিল্যাক্স করার জন্য কিছু পদ্ধতি অবলুম্বন করা। 
  • কগনিটিভ বিহ্যাভিয়ার থেরাপি নেওয়া যেতে পারে। 
  • একটা সাপোর্ট সিস্টেম তৈরি করা
  • নিজেকে আইসোলেট করা থেকে বিরত থাকা 

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *