আত্মমগ্নতা

আত্মঅহংকারীদের কীভাবে সামলাবো ?

নারসিসিস্ট অথবা আত্মঅহংকারী কি ?

\”দ্যা অফিস \” সিটকমে মাইকেল স্কট কে কি কখনো তোমার কাছে নারসিসিস্ট লেগেছে?

নারসিসিজম হলো এক প্রকার পারসোনালিটি ডিজঅর্ডার  যা মানুষের এমন একটি মেন্টাল কন্ডিশন কে ইন্ডিকেট করে যখন সে অতিরিক্ত  এবং অপ্রয়োজনীয় মনোযোগ,প্রশংসা পাওয়ার আশা করে।এদের ব্যক্তিত্ব / আত্মবিশ্বাস এতটাই ভংগুর হয় যে সামান্য সমালোচনা তেও তাদের আত্মসম্মানবোধ কমে যায়।

কিভাবে বুঝবো মানুষ টা নারসিসিস্ট?

১. নিজের প্রয়োজন কে মাত্রাতিরিক্ত ভাবে গুরুত্ব দেওয়া,  ধরো কোন একটা সিচুয়েশনে তোমার বন্ধু/কলিগ/বস/ফ্যামিলি মেম্বার তোমার সুবিধা-অসুবিধার কথা না ভেবেই একটা ডিসিশন নিয়ে নিলো।

২.কনভারসেশন চলাকালীন সময়ে তোমার কথাও শুনতে চাইলো না,উলটো এমন কিছু বলল যা তোমার মধ্যে ইনফেরিওরিটি তৈরি করলো,অথবা সে(নারসিসিস্ট) সুপেরিওরিটি দেখালে।

৩.তাকে সবাই হিংসা করে,এমন মনোভাব।

৪.আরেক জনের দরকার/প্রয়োজন/অনুভূতির তোয়াক্কা না করার মনোভাব।

সব মিলিয়ে সমালোচনার এর প্রতি ভংগুর থাকা কিন্তু আশেপাশের মানুষের প্রতি সদয় না থাকা কে নারসিসিজম বলে। যা একাডেমিক,জব, ক্যারিয়ার লাইফে সফল হওয়ার ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাড়াতে পারে।

কিম্বারলে পেরিলিম (লাইসেন্সড মনোরোগ বিশেষজ্ঞ) এর মতে, নারসিসিস্ট দের সাথে ডিল করার ক্ষেত্রে এডভান্সড ইমোশনাল স্কিলস  এর প্রয়োজন হয়।

আত্মঅহংকারীর কিছু লক্ষণ
আত্মঅহংকারীর কিছু লক্ষণ

নারসিসিস্ট দের কে কিভাবে প্রাত্যহিক জীবনে হ্যান্ডল করা যায়?

১. নারসিসিজম সম্পর্কে জানোঃ

নারসিসিজম সম্পর্কে জানলে তুমি নারসিসিস্ট  দের খুব সহজেই চিনতে পারবে।এবং তাদের থেকে বাস্তবসম্মত আশা রাখা সহজ হবে।অর্থাৎ তুমি তাদের অসদাচরণ, ম্যানুপুলেশন, মিথ্যা,তোমার প্রয়োজন কে পাত্তা না দেওয়া এইসব ইস্যু এর জন্য মানসিক ভাবে তৈরী থাকতে পারবে এবং সেইগুলো খুব ভালোভাবে মোকাবেলা করতে পারবে।

২. নিজের একটা সেইফ বাউন্ডারি তৈরি করঃ

নারসিসিস্ট-রা অনেক সময় অযাচিত উপদেশ দেওয়া,অন্যের সফলতার পিছনে নিজের অবদান নিয়ে গর্ব করা,অন্যদের প্রেশার দিয়ে নিজের স্বার্থ হাসিল করতে চাওয়া ইত্যাদি কাজ করে থাকে।এক্ষেত্রে আমাদের করনীয় হল,নিজের বাউন্ডারি সেট করে সেখানে দৃঢ় থাকা এবং সেটা তাদের পরিষ্কার ভাবে জানানো ।কারণ,সবসময় সবাইকে খুশি রাখা সম্ভব না।এবং নিজের মেন্টাল হেলথ এর প্রায়োরিটি সবার উপরে রাখা জরুরি।

৩. নিজের প্রয়োজন নিয়ে সোচ্চার হওঃ

শান্ত এবং ভদ্রভাবে তাদের জানাও কিভাবে তাদের কথা এবং কাজ তোমার জীবনে ইতিবাচক /নেতিবাচক প্রভাব বিস্তার করে।তাদের কোন আচরন/কথা/কাজ তোমার কাছে গ্রহনযোগ্য না,এবং তুমি তাদের কাছ থেকে কেমন আচরন আশা করছো,এই ব্যাপার গুলো তাদের সাথে খোলাখুলিভাবে আলোচনা কর।

এছাড়া থেরাপি এর মাধ্যমে তুমি নারসিসিস্ট দের সাথে কিভাবে প্রবলেম সলভিং আ্যপরোচে ডিল করতে হয়,তা শিখতে পারো।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *