সুখী ও পরিপূর্ণ জীবনের জন্য মানসিক সুস্থতা বজায় রাখা অপরিহার্য। আমরা প্রায়ই কীভাবে আমাদের মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন শুরু করবো তা নিয়ে বিভ্রান্ত হতে পারি, তাই চলুন আজ জেনে নেই মানসিক স্বাস্থ্য বুস্ট করার ১০টি উপায় সম্পর্কে!
- স্ব-যত্ন অনুশীলন : নিজের শারীরিক এবং মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন নেওয়ার জন্য আপনি যা করেন তা স্ব-যত্নে অন্তর্ভুক্ত। এর মধ্যে ব্যায়াম, স্বাস্থ্যকর খাওয়া, পর্যাপ্ত ঘুমানো এবং নিজের জন্য সময় বের করার মতো ব্যাপারগুলো অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে।
- কানেক্টেড থাকা: ভালো সামাজিক সম্পর্ক মানসিক স্বাস্থ্যের উপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। এটি একটি বন্ধুর সাথে কথা বলা,সাপোর্ট গ্রুপে যোগদান বা স্বেচ্ছাসেবী কর্মকান্ডের মাধ্যমে হতে পারে। অন্যদের সাথে কানেক্টেড থাকা আপনার মেজাজকে ভালো রাখতে এবং “বিচ্ছিন্নতার” অনুভূতি কমাতে সাহায্য করবে।
- নিয়মিত ব্যায়াম করুন: নিয়মিত ব্যায়াম এন্ডোরফিন (একটি হরমোন যা মন ভালো রাখতে সহায়ক) নিঃসরণের পাশাপাশি চাপ এবং উদ্বেগ কমাতেও সাহায্য করে।
- স্বাস্থ্যকর খাবার খান: স্বাস্থ্যকর খাবার আপনার মানসিক স্বাস্থ্য উন্নত করবে। ফল এবং শাকসবজি, গোটা শস্য এবং চর্বিহীন প্রোটিন সমৃদ্ধ একটি মেন্যু মস্তিষ্ককে সঠিকভাবে কাজ করার জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ করার পাশাপাশি দুশ্চিন্তা ও মানসিক চাপ কমায়।
- মাইন্ডফুলনেস অনুশীলন: মাইন্ডফুলনেস হলো এই মুহূর্তে উপস্থিত থাকার এবং নিজের চিন্তাভাবনা এবং অনুভূতির প্রতি মনোযোগ দেওয়ার অনুশীলন। এটি মানসিক চাপ এবং উদ্বেগ কমানোর একটি দুর্দান্ত উপায়।
- পর্যাপ্ত ঘুম: ভাল মানসিক স্বাস্থ্য বজায় রাখার জন্য পর্যাপ্ত ঘুম অপরিহার্য। প্রতি রাতে প্রায় 7-9 ঘন্টা ঘুমানোর চেষ্টা করুন এবং নিয়মিত ঘুমের শিডিউল মেইনটেইন করুন।
- নেতিবাচক চিন্তাকে চ্যালেঞ্জ করুন: নেতিবাচক চিন্তা বিষন্নতা এবং উদ্বেগের অনুভূতি জন্ম দেয়। এই চিন্তাগুলিকে চ্যালেঞ্জ করে এবং একটি ইতিবাচক আলোকে তাদের পুনর্বিন্যাসের মাধ্যমে আপনি আপনার মেজাজ এবং মানসিক সুস্থতা নিশ্চিত করতে পারেন। এটা আপনার মধ্যে পজিটিভ ও সুস্থ চিন্তাভাবনার বিকাশ ঘটাবে।
- প্রফেশনালের সাহায্য নিন: যদি আপনার মানসিক স্বাস্থ্য সামলাতে হিমশিম খেতে হয়, এখনই সময় প্রফেশনাল কারো সাহায্য নেওয়ার। এক্ষেত্রে, একজন থেরাপিস্ট, কাউন্সেলর বা সাইকিয়াট্রিস্টের সাহায্য নেয়া যেতে পারে।
- কৃতজ্ঞতার অভ্যাস করুন: আপনার জীবনের যে জিনিসগুলির জন্য আপনি কৃতজ্ঞ তা উপলব্ধি করার জন্য সময় নিন। কৃতজ্ঞ থাকার এই অভ্যাস চাপ এবং উদ্বেগের অনুভূতি কমানোর পাশাপাশি আপনার মনকে রাখবে ফুরফুরে।
- নিজের জন্য সময় নিন: নিজের জন্য সময় নেওয়া এবং আপনি যে জিনিসগুলি উপভোগ করেন তা করা গুরুত্বপূর্ণ। এটি একটি বই পড়া, গান শোনা বা প্রকৃতিতে হাঁটা থেকে যেকোনো কিছু হতে পারে। এগুলো নিজেকে রিচার্জ করার একটি দুর্দান্ত উপায়ও বটে!
এই অনুশীলনগুলি আপনার রুটিনের একটি নিয়মিত অংশ করে ফেলুন। মনে রাখবেন, আপনার মানসিক স্বাস্থ্য আপনার শারীরিক স্বাস্থ্যের মতোই গুরুত্বপূর্ণ। মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক যেকোনো প্রয়োজনে সাহায্যের জন্য পৌঁছাতে দ্বিধা করবেন না।