আপনি কি মেন্টালি ফিট আছেন? এটা বোঝা খুব সহজ, যদি কিছু বিষয় খেয়াল করেন। বিশেষ করে, কঠিন পরিস্থিতিতে আপনি কেমন আচরণ করছেন, তা অনেক কিছু বলে দেয়। কিছু গুণাবলী থাকলে ধরে নেওয়া যায় যে, আপনি মেন্টালি ফিট আছেন। চলুন, এক নজরে দেখে নেওয়া যাক—
১. আপনি আপনার ট্রিগার পয়েন্ট চেনেন
আপনার মেন্টাল ফিটনেস বোঝার প্রথম ধাপ হলো নিজের ট্রিগার পয়েন্ট চেনা।
- কোন বিষয়গুলো আপনাকে কষ্ট দেয় বা পুরোনো ভয় মনে করিয়ে দেয়, তা আপনি সহজেই চিহ্নিত করতে পারেন।
- শুধু চেনাই নয়, সেগুলো মোকাবিলার উপায়ও আপনার জানা।
উদাহরণ: কঠিন পরিস্থিতির আগে নিজেকে মানসিকভাবে প্রস্তুত করা।
২. আপনি কারও সঙ্গে নিজেকে তুলনা করেন না
মেন্টালি ফিট মানুষরা জানেন যে প্রত্যেকের জীবন আলাদা।আপনি জানেন যে এই পৃথিবীতে আপনার মতো আর কেউ নেই। আপনার জীবনের পথ একেবারে আলাদা। তাই,
- আপনি অন্যের সঙ্গে তুলনা না করে নিজের উন্নতির দিকে মনোযোগ দেন।
- অতীতের নিজেকে বর্তমানের সঙ্গে তুলনা করেই উন্নতির মাপকাঠি নির্ধারণ করেন।
উদাহরণ: “আমি আগের চেয়ে অনেক বেশি দক্ষ এবং অভিজ্ঞ হয়েছি।”
৩. আপনি নিজের সঙ্গে সময় কাটান
নিজের সঙ্গে সময় কাটানো মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
- আপনি নিয়মিত নিজের ভুল এবং সফলতা নিয়ে ভাবেন।
- ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে নিজেকে উন্নত করেন এবং সফলতাকে অহংকারে পরিণত হতে দেন না।
উদাহরণ: প্রতিদিন ভাবুন, “আজ আমি কী শিখলাম বা কী ভালো করলাম?”
৪. আপনি সাহায্য চাইতে ভয় পান না
সাহায্য চাওয়া মানে দুর্বলতা নয়; এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ গুণ।
- আপনি জানেন, একা সব সমস্যার সমাধান করা সম্ভব নয়।
প্রয়োজন হলে বন্ধু, পরিবার, বা বিশেষজ্ঞের সাহায্য নিতে আপনি দ্বিধা করেন না।
উদাহরণ: কাজের চাপ বেড়ে গেলে একজন সহকর্মীর সহায়তা চাওয়া।
৫. আপনি জীবনের জন্য কৃতজ্ঞ থাকেন
মেন্টালি ফিট মানুষরা জীবনের পজিটিভ দিকগুলোর জন্য কৃতজ্ঞ।
- এর মানে এই নয় যে, খারাপ দিকগুলো এড়িয়ে যান। বরং, ইতিবাচক বিষয়গুলো থেকে শক্তি নিয়ে নেগেটিভ বিষয়গুলো মোকাবিলা করেন।
উদাহরণ: কঠিন দিনেও পরিবার বা বন্ধুদের সাপোর্টের জন্য কৃতজ্ঞ থাকা।
আপনার মধ্যে এই গুণাবলী আছে কি?
যদি থাকে, তবে আপনি মেন্টালি ফিট। আর যদি কিছু অভ্যাস পরিবর্তন করতে হয়, তবে আজ থেকেই শুরু করুন। মেন্টালি ফিট থাকা আমাদের জীবনের অনেক বড় একটা সফলতা।
মেন্টালি ফিট থাকার সহজ উপায়:
✔️ প্রতিদিন ধ্যান বা মাইন্ডফুলনেস চর্চা করুন।
✔️ শারীরিক ব্যায়াম আপনার মানসিক শক্তি বাড়াবে।
✔️ পজিটিভ মানুষদের সঙ্গে সময় কাটান।
✔️ আপনার আবেগ প্রকাশ করুন এবং চাপের মুহূর্তে বিরতি নিন।
✔️ প্রয়োজনে একজন মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞের সাহায্য নিন।
শেষ কথা:
মেন্টালি ফিট থাকা মানে শুধু মানসিক সুস্থতা নয়; এটি আপনাকে জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে উন্নতি করতে সাহায্য করে।
আজ থেকেই এই অভ্যাসগুলো শুরু করুন এবং নিজের মেন্টালি ফিট থাকার যাত্রা শুরু করুন। এক্ষেত্রে রিল্যাক্সি আপনার পথপ্রদর্শক হতে পারে!
রিল্যাক্সি অ্যাপ ডাউনলোড করুন এখানে ক্লিক করে
আপনার মানসিক স্বাস্থ্যই আপনার জীবনের ভিত্তি। মেন্টালি ফিট থাকার টিপস নিয়ে আরও জানতে আমাদের অন্যান্য ব্লগ পড়ুন।