কিভাবে কাজের / একাডেমিক চাপ সামলাবো?

কখনো কি এমন হয়েছে যে কোন জিনিস/সিচুয়েশন /ইন্সিডেন্ট/ডেডলাইন এর কথা ভাবলেই তোমার খুব রেস্টলেস ফিল হয়? অথবা মুখ শুকিয়ে যায়,হাত-পা ঠান্ডা হয়ে যায়,ঘেমে যায়,শ্বাস নিতে কষ্ট হয়,মাসল টেনশন, ঘুমে সমস্যা হয়? যদি এমন হয়ে থাকে তাহলে তুমি এই সেল্ফ হেল্প টিপস গুল ফলো করতে পারোঃ

১. নিয়মিত ঘুমঃ

নিয়মত ঘুম তোমার মুড,প্রবলেম সলভিং স্কিল,মেমরি ওভারল মেন্টাল হেলথ ভালো রাখতে সাহায্য করে। ঘুমানোর আগে মেইক শিওর কর কোন ডিভাইস যেমনঃ ল্যাপটপ, কম্পিউটার, মোবাইল ফোনের ব্লু লাইট যেন তোমার স্লিপ কোয়ালিটি কে কমিয়ে না দেয়।এই জন্য ঘুমানোর ঠিক ১ ঘন্টা আগে থেকে এইসব ইলেকট্রনিক গ্যাজেট চালানো বন্ধ করা যেতে পারে।

২. ব্যালেন্সড ডায়েট মেইনটেইন করাঃ

তোমার ডায়েট রুটিনের মধ্যে ৮০-২০ রুল ফলো করতে পারো।সবসময় হেলদি খাবার খাওয়া সম্ভব হয় না।তোমার ডায়েট এর মধ্যে ৮০% হেলদি খাবার রেখে ২০% তোমার পছন্দের ফাস্টফুড খেলে সেটা তোমাকে বেটার ফিল করাতে পারে।

৩. সোশ্যাল ইন্টারেকশনঃ

আমরা অনেক সময় সোশ্যাল ইন্টারেকশন বলতে সোশ্যাল মিডিয়া তে হওয়া আমাদের কনভারসেশন কে বুঝে থাকি।কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়া কনভারসেশন রিয়েল টাইম সোশ্যালাইজিং কে রিপ্লেস করতে পারে না।বন্ধুদের সাথে রিয়েল টাইমে ভালো ভাবে সময় কাটালেও অনেক খানি এনজাইটি থেকে দূরে থাকা যায়।

৪. তোমার চিন্তা-ভাবনা গুলো কে খেয়াল করঃ 

ধরে নাও,তুমি তোমার এক্সাম নিয়ে এনজাইটি তে ভুগছো।যার জন্য তোমার পড়া ঠিক মত হচ্ছে না।সিচুয়েশন টা একটি জুম আউট করে চিন্তা করে দেখো তো। তুমি পরীক্ষার জন্য যা শিখছো,সেটা তোমার স্কিল এবং নলেজ দুই টা কেই বৃদ্ধি করছে। এবং হতে পারে সেই নলেজ এর উপর বেইস করে ভবিষ্যতে তুমি এমন একটা চমৎকার কাজ করলে যেটা কিনা তোমার দেশ এবং সমাজের কাজে লাগলো।তোমার যে কাজ টা নিয়ে দুশ্চিন্তা হচ্ছে,সেটাত বিগ পিকচার মনের মধ্যে কল্পনা করতে পারো।

৫. প্ল্যান করাঃ

ভবিষ্যতের অনিশ্চয়তা নিয়ে অতিরিক্ত চিন্তা করার কারনেও মাঝে মাঝে এনজাইটি হতে পারে।তাই আগে প্ল্যান করে রাখা যেতে পারে।এর একটা ভালো উপায় হল,প্রতিদিন কি কি কাজ করবে সেটার একটা লিস্ট করা।যেটা কে বলা হয় টু-ডু লিস্ট।অনেক সময় লং টার্ম গোল ঠিক করে রাখা,এবং সেটা নিয়ে কাজ করা,গোল এ পৌছাতে না পারলে ব্যাক আপ প্ল্যান রাখলে অনেক সময় তাৎক্ষনিক ভাবে এনজাইটি মোকাবেলা করা যায়।