ক্যারিয়ারে স্থিরতা পাচ্ছেন না? 

“এই চাকরিটা কি আমার জন্য?”
“পাস করলাম, কিন্তু এখন কী করবো?”
“সবাই এগিয়ে যাচ্ছে, আর আমি যেন আটকে আছি।”
এই প্রশ্নগুলো এখন আর ব্যতিক্রম নয়—এটাই বাস্তবতা অনেক তরুণ পেশাজীবী ও ছাত্রছাত্রীর।

ক্যারিয়ার শুধু চাকরি নয়—এটি আপনার আত্মপরিচয়, আত্মমর্যাদা, এমনকি মানসিক শান্তির সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। তাই যখন পেশাগত স্থিরতা আসে না, বা নিজের লক্ষ্য নিয়ে দ্বিধা তৈরি হয়, তখন ভেতরে তৈরি হয় এক ধরণের অদৃশ্য অস্থিরতা—ক্যারিয়ার ইনসিকিউরিটি।

ক্যারিয়ার ইনসিকিউরিটি কীভাবে দেখা দেয়?

ক্যারিয়ার-সংক্রান্ত সমস্যাগুলো সরাসরি চোখে পড়ে না সবসময়। বরং এটি ধীরে ধীরে তৈরি হয় বিভিন্ন মানসিক সংকেতের মাধ্যমে—

  • নিজের সিদ্ধান্তে আস্থা না থাকা
  • ঘন ঘন চাকরি বদলানো বা এক জায়গায় স্থির থাকতে না পারা
  • অন্যদের সাফল্যের সঙ্গে নিজের তুলনা করা
  • নিজের পছন্দ ও প্রয়োজনের মাঝে দ্বন্দ্ব
  • “আমি কোথাওই মানাচ্ছি না” ধরনের অনুভব

এই ইনসিকিউরিটি এক সময় গিয়ে পৌঁছায় স্ট্রেস, ডিপ্রেশন, বার্নআউট কিংবা একঘেয়েমিতে

ইনসিকিউরিটির পেছনের কারণগুলো কী?

  • পরিবারের অতিরিক্ত প্রত্যাশা বা চাপ
  • সমাজে সাফল্য সংজ্ঞায়নের একপাক্ষিক মানদণ্ড
  • নিজের আগ্রহ ও চাকরির মধ্যে পার্থক্য
  • পর্যাপ্ত গাইডলাইন বা রোল মডেলের অভাব
  • আগে কোনো ক্ষেত্রে ব্যর্থতার অভিজ্ঞতা

এই সবকিছু মিলে একজন মানুষকে তার পেশাগত জীবনে দিকভ্রান্ত ও মানসিকভাবে বিপর্যস্ত করে তোলে।

আপনি একা নন

এই জায়গাটা খুব নিঃসঙ্গ মনে হতে পারে। চারপাশে সবাই যেন খুব ব্যস্ত, সফল, দিকনির্দেশিত—শুধু আপনি ছাড়া।
কিন্তু জেনে রাখুন—এই একই যাত্রায় আছেন হাজার হাজার মানুষ। এবং এই অস্থিরতা থেকে বের হওয়া সম্ভব, যদি আপনি নিজেকে বোঝার কাজটা শুরু করেন।

কীভাবে নিজেকে গুছিয়ে নেওয়া যায়?

১. নিজের ‘কেন’ খুঁজে বের করুন

আপনার কী ভালো লাগে? কেন এই পেশায় যেতে চেয়েছিলেন? সেই মৌলিক প্রশ্নগুলোতে ফিরে যান। বাহ্যিক নয়, ভেতরের ইচ্ছাগুলোর দিকে তাকান।

২. পারফেক্ট ক্যারিয়ার বলে কিছু নেই

পেশাগত জীবন বদলাতে পারে, মানুষ বদলায়। তাই নিজেকে “ঠিক পেশা খুঁজে পাইনি” বলে দোষারোপ করবেন না। বরং দেখুন, আপনি কোন পরিবেশে সবচেয়ে স্বচ্ছন্দ বোধ করেন।

৩. তুলনা নয়, আত্মবিশ্বাস

অন্য কেউ কী করছে, তা জানার চেয়ে আপনি কী করতে চান—এটা জানা অনেক বেশি জরুরি। আত্মবিশ্বাস গড়ে তুলুন নিজের গতিতে, অন্যের ছায়া দেখে নয়।

৪. একজন থেরাপিস্ট বা ক্যারিয়ার কাউন্সেলরের সাহায্য নিন

নিজের চিন্তা করতে অনেক সময় পেশাদার সহায়তা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। তারা আপনার দৃষ্টিভঙ্গি পরিষ্কার করতে, বাধাগুলো চিহ্নিত করতে এবং বাস্তবসম্মত লক্ষ্য নির্ধারণে সাহায্য করতে পারেন।

Relaxy কীভাবে পাশে থাকবে?

Relaxy ক্যারিয়ার ইনসিকিউরিটি বা পেশাগত অস্থিরতা নিয়ে কাজ করার জন্য প্রস্তুত:

  • ক্যারিয়ার-ফোকাসড কাউন্সেলিং সেশন
  • সেল্ফ-ডাউট ও পারফরম্যান্স অ্যানজাইটির জন্য বিশেষ থেরাপি
  • বাংলা ভাষায়, আপনার মতো তরুণদের জন্য উপযোগী প্রাইভেট থেরাপিস্ট
  • সহজ অ্যাপ-ভিত্তিক বুকিং ও নমনীয় সময়সূচি

👉 এখনই রিল্যাক্সি অ্যাপ ডাউনলোড করুন
👉 আপনার প্রিয়জনের পাশে থাকুন এবং কাউন্সেলিং নিতে তাদের উদ্বুদ্ধ করুন।

এখানে আপনি শুধু ভালো সিদ্ধান্ত নয়—নিজেকে বুঝে নেয়ার সুযোগও পাবেন।

একটা ভুল চাকরি বা বিভ্রান্তি মানে আপনার ভবিষ্যত শেষ নয়।
বরং আপনি যে প্রশ্নগুলো করছেন—“আমি কে?”, “আমি কী চাই?”, “আমার পথ কোনটা?”—এই প্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজতেই তো জীবন।

এটা ভয় বা লজ্জার বিষয় নয়, বরং নিজেকে নতুন করে চিনে নেয়ার যাত্রার শুরু।

Comments

Write a comment