নিজেকে ভালবাসা

কিভাবে নিজের যত্ন নিব?

আমরা অনেকেই আছি যারা নিজেদের চেহারা, দৈহিক গড়ন নিয়ে মনে কষ্টে ভুগি।আমার মুখে অনেক দাগ,আমি খুব মোটা অথবা খুব চিকন এইসব চিন্তা আমাদের মাথায় প্রায়ই হানা দেয় এবং আস্তে আস্তে আমাদের আত্মবিশ্বাস কমে যেতে থাকে। ফলাফল, সোশ্যাল এনজাইটি এর মত ভয়াবহ সমস্যা মনে বাসা বাধে।

এর জন্য প্রয়োজন কিছু মাইন্ডসেট শিফট।

নিজের যত্ন নেওয়ার টিপস
নিজের যত্ন নেওয়ার টিপস
  1. বাহ্যিক সৌন্দর্য তোমাকে ডিফাইন করে নাঃ তোমার ফিজিকাল ডিটেইল যেমন স্কিন,বডি, চুল এইসব কিছু এক্সটার্নাল ফ্যাক্টর। এদের উপর অনেকাংশেই তোমার নিয়ন্ত্রণ নেই।তুমি কেমন দেখতে,সেটা তোমার হাতে নেই। যে জিনিসটা তোমার হাতে নেই,তুমি চাইলেই যেটা হয়তো পরিবর্তন করতে পারবে না,সেটা নিয়ে ইনসিকিউরিটি তে ভুগে নিজেকে সবার থেকে নিজেকে আইসোলেট করা কি খুব ভালো সিদ্ধান্ত? তুমি কি নিজের সুন্দর বর্তমান টা নষ্ট করে ফেলছো না?
  2. লাইফের কোন কোন ফ্যাক্টর তোমাকে ডিফাইন করে,সেটা সেট করঃ নিজেকে জিজ্ঞেস কর আমার নাম শুনলে প্রথম কোন শব্দ টা মানুষের মাথায় আসলে আমি খুশি হব? সেটা যদি হয় খুব বিনয়ী, নিরহংকারী মানুষ তাহলে কি তুমি খুব খুশি হবে নাকি জাস্ট সুন্দর দেখতে একজন মানুষ হলে খুশি হবে।তোমার বিশ্বাস,প্রতিভা,অনুপ্রেরণা,প্যাশন, স্বপ্ন,গোল তোমাকে তোমার বাহ্যিক বৈশিষ্ট্য থেকে অনেক বেশি ডিফাইন করে।এবং এই ফ্যাক্টর গুলোর উপর তোমার নিয়ন্ত্রণ আছে।তাই ইন্টারনাল বিষয়ের উপর নিজের ডেভেলপ আনার ট্রাই কর।
  3. সোশ্যাল মিডিয়াতে পিকচার পারফেক্ট ইনফ্লুয়েন্সার দের সাথে নিজের কম্পেয়ার করা থেকে সরে আসতে পারোঃ সোশ্যাল মিডিয়াতে আমরা যাদের দেখি,তাদের কেবল জীবনের পজিটিভ দিক গুলোই দেখে থাকি।তাদের স্ট্রাগল,ইনসিকিউরিটি নিয়ে আমরা কিছুই জানি না। তাদের সুন্দর দেখানোর জন্য মেক আপ,লাইট,এডিটিং ইত্যাদির পিছনে যে ইনভেস্টমেন্ট করা হয়,সে ইনভেস্টমেন্ট সম্পর্কে আমরা অনেকেই কিছু জানি না।তাই তুমি যা বাইরে থেকে দেখছো,সেটা একচুয়াল রিয়েলিটি নাও হতে পারে।
  4. কম্পেয়ার না করে ইন্সপায়ার হওঃ যাদের দেখে তোমার কাছে নিজেকে ইনফিরিয়র মনে হচ্ছে, তাদের কে খেয়াল কর।ঠিক কি কারনে তাদের কে তোমার কাছে সুন্দর লাগছে। ধরে নাও,কারো স্কিন খুব সুন্দর। তার থেকে জেনে নাও তার স্কিন কেয়ার রুটিন।আইডিয়া টা হলো,তোমার সাধ্যে যতটুকু আছে অথবা বেসিক কিছু স্টেপস নিয়ে ফেলো।কারন নিজের যত্ন নিলেও তোমার ভালো ফিল হতে পারে।কিন্তু এই বিষয় নিয়ে স্ট্রেস নেওয়া যাবে না।
  5. তুমি একজন পরিপূর্ণ মানুষ ইনসাইড এবং আউটসাইডঃ চিন্তা করে দেখো,পৃথিবী তে আমরা যাদের সাকসেসফুল হিসেবে চিনি,তাদের খুব কম সংখ্যক মানুষ বিউটি স্ট্যান্ডার্ড এ ফিট করে।তারা তাদের আইডিয়া,ভিশন,গোল দিয়েই পরিচিতি লাভ করেছে।এবং তাদের ভিশন,গোল এর মাধ্যমে আমরা তাদের চিনতে পেরেছি

তোমার মধ্যকার আমি কে জানতে চেষ্টা কর।এক্সটার্নাল ফ্যাক্টর এর উপর বেইজ করে নিজেকে ডিফাইন করার চেষ্টা থেকে সরে আসতে পারো। তোমার বাহ্যিক সৌন্দর্য তোমার পারিপার্শ্বিকতা কে যতটা প্রভাবিত করে,তোমার সুন্দর চিন্তা,ভিশন তার থেকে অনেক গুন বেশি প্রভাবিত করে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *